‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন হবে, আইনের ড্রাফট করেছি’

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। কমিশন গঠন করা হবে। আমরা সেই আইনের ড্রাফট করে ফেলেছি। আপনারা হয়তো বলবেন অনেকেই তো মারা গেছেন, তাহলে এখন কেন এটা করা হবে? আমি বলতে চাই কোনো প্রতিহিংসার কারণে নয়; জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এটা আমরা করবো। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দুজন বিদেশে অবস্থান করছেন। একজন আমেরিকায়, একজন কানাডায়। আমরা চেষ্টা করছি তাদের আনতে। যতক্ষণ আমরা আছি ততক্ষণ তাদের এ পৃথিবীতে থাকতে দেবো না।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলেচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী। এর আগে আইনমন্ত্রী রেলপথে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন। পরে সড়কে পথে কসবায় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে। তবে হত্যা করে আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই না। আমাদের প্রতিশোধ হবে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেখানো। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কোনো দিন মরবে না। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশে মারা যায় না। বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করা হবে। নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে এরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের ভার তাদের (খুনিদের) পরিবারের হাতে যেন তুলে না দেয়। তাদের হাতে দেশের ভার গেলে তারা দেশকে বিরান করে ফেলবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশে আইনের শাসন থাকবে। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসার পর দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। জেল হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। এর নামই হচ্ছে আইনের শাসন।

এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া